We’ve had the good fortune
মাত্র 28 বছর বয়সেই রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছেন রাশি রে। তাঁর সংস্থা ‘জ়িরো বাজেট এজেন্সি’র বিজ্ঞাপনের কাজ এক সর্বভারতীয় আসরে তিন-তিনটি পুরস্কার জিতে নিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরেই কলকাতায় যে কোনও ধরনের মৌলিক কাজের ক্ষেত্রেই তৈরি হয়েছে তীব্র সঙ্কট, অধিকাংশ প্রজেক্টই এ শহরে আসে না। বিজ্ঞাপন জগৎও তার ব্যতিক্রম নয়। সেই পরিস্থিতিতে রাশি ও তাঁর সংস্থার এই স্বীকৃতি আশার আলো দেখায়।
প্রখ্যাত বিজ্ঞাপন ব্যক্তিত্ব রাম রে-র কন্যা রাশি একাধারে আর্ট ডিরেক্টর, লেখক এবং কমিউনিকেশন ডিজ়াইন স্পেশালিস্ট। সিঙ্গাপুরের লাসেল কলেজ অফ দ্য আর্টসের কমিউনিকেশন ডিজ়াইনের এই স্নাতক ‘জ়িরো বাজেট এজেন্সি’-র সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ডিজিটাল কমিউনিকেশনের পাশাপাশি নিউ এজ মিডিয়াতেও রাশির বিশেষ বুৎপত্তি আছে। ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে যেভাবে তিনি একটি ফ্যাশন ব্র্যান্ড লঞ্চ করেছেন কিছুদিন আগে, তা তাক লাগিয়ে দিয়েছে পোড়খাওয়া বিজ্ঞাপন ব্যক্তিত্বদেরও। বই, ওয়েবসাইট ডিজ়াইন ছাড়াও তাঁর এজেন্সি ফিল্ম তৈরি করে। তৈরি করে ব্র্যান্ড পরিচিতি ও ক্যাম্পেন।
বাবার বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘রেসপন্স’-এর অন্যতম ডিরেক্টর রাশি কম খরচে বিজ্ঞাপনী পরিষেবা জোগানোর জন্য খুলেছেন ‘জ়িরো বাজেট এজেন্সি’। আর কী কী করার স্বপ্ন দেখেন রাশি? সপ্রতিভ, বুদ্ধিমতী তরুণীর সপাট উত্তর, ‘‘আরও সাহসী হতে চাই। এমন ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কাজ করতে চাই, যাঁদের চিন্তাভাবনাকে কোনও ছকে বাঁধা যায় না। এমন প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করতে চাই যেগুলি আগে কেউ দেখেননি। আশা করি, সুদূর ভবিষ্যতে কোনও একদিন এ দেশে যে মানের বিজ্ঞাপন তৈরি হয়, সেই হিসেবটাকেই আমরা বদলে দিতে পারব! জ়িরোকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন আছে। এর মাধ্যমে আমি এমন ব্র্যান্ড তৈরি করতে চাই যা বিশ্বের প্রথম সারির বলে পরিচিত হবে।’’
বিজ্ঞাপন মানুষকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে, এ বিষয়ে কোনও মতান্তর নেই। কিন্তু বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রগুলো খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে। এক তরুণ বিজ্ঞাপন নির্মাতা হিসেবে আপনি কীভাবে দেখেন এই পরিবর্তনগুলিকে? ‘‘আমি একটা মৌলিক সত্যে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। বিজ্ঞাপন যদি নাড়া দেওয়ার মতো হয়, তা হলে সেটা কার্যকরী হবেই, তা সে যে কোনও মাধ্যমেই হোক না কেন। এ ব্যাপারে 50 বছর আগের নিয়মের সঙ্গে আজকের বা আগামীদিনের কোনও পার্থক্য হবে না। আর সব কিছুর মতোই বিজ্ঞাপনের দুনিয়াতেও বদল আসবে, সেটাই স্বাভাবিক। যাঁরা ক্রিয়েটিভ, তাঁরা কিন্তু সব সময়েই করার মতো কিছু ঠিক বের করে ফেলবেন,’’ বলছেন রাশি।
কিন্তু সোশাল মিডিয়ার মতো প্ল্যাটফর্মে যখন বিজ্ঞাপন দেখায়, তখন তো অধিকাংশ মানুষই স্কিপ করে যান। টিভিতেও বিজ্ঞাপন বিরতি হলে বেশিরভাগ দর্শকই চ্যানেল সার্ফ করতে আরম্ভ করেন। তা হলে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে উপভোক্তাকে প্রভাবিত করার তত্ত্বটা কি জোলো হয়ে যাচ্ছে না? মানতে নারাজ রাশি। বলছেন, ‘‘বিজ্ঞাপন যে প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে, সেটা খেয়াল রাখতে হবে নির্মাতাদেরও। এককালে বিজ্ঞাপন তৈরি করতে গেলে মানুষের যে যে গুণ থাকা আবশ্যক বলে মনে করা হত, তাতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন আরও নানা ধরনের কোর স্কিল আর ট্যালেন্ট প্রয়োজন হয়, ভবিষ্যতে এই তালিকাটা আরও লম্বা হবে বলেই আমার বিশ্বাস।’’ সঙ্গে যোগ করে দিচ্ছেন, ‘‘অজস্র এমন বিজ্ঞাপন তৈরি হচ্ছে যেগুলো মানের দিক থেকে অত্যন্ত সাধারণ। বিশেষ করে সোশাল মিডিয়ায় অনেকেই বিজ্ঞাপন তৈরি করেন যাঁদের এই জগৎটা সম্পর্কে ধারণাই নেই। পাশাপাশি কিন্তু কিছু ভালো কাজও হচ্ছে। যত বেশি কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট নিজেদের সোশাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন তৈরির জন্য প্রশিক্ষিত করে তুলবেন, তত বাড়বে ভালো কাজের পরিমাণ। এখন আমরা সোশাল মিডিয়া জ্বরে ভুগছি, ভবিষ্যতে অন্য কোনও মিডিয়া আসবে, কিন্তু ভালো কর্মী এলে ভালো কাজ হবে এবং বিজ্ঞাপন কখনওই প্রয়োজনীয়তা হারাবে না।’’
রাশি লিখতে ভালোবাসেন। ব্লগ, বই, চিত্রনাট্য, কোনওটাতেই তাঁর অরুচি নেই। ইচ্ছে আছে শিগগির কিছু লেখা প্রকাশ করার। যেহেতু বাবা বিজ্ঞাপন জগতের সঙ্গেই যুক্ত, তাই কি আপনিও বিজ্ঞাপনের দিকেই ঝঁুকলেন? রাশি বলছেন, ‘‘মা-বাবার কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি, অনুপ্রেরণা পেয়েছি। কিন্তু ওঁরা কখনওই আমায় প্রভাবিত করেননি। আমি লিখতে ভালোবাসি, ডিজ়াইন করতে ভালোবাসি, বিজ্ঞাপন আমাকে সবটা মিলিয়ে অনেক কিছু তৈরি করার সুযোগ দেয়। নিজের কাজকে কোনও একটা সংজ্ঞায় বেঁধে রাখতে আমি রাজি নই।’’
We’ve had the good fortune
BETTER THAT MY BRAND EATS
Honestly, both spook us out!
Whether you work in design,
Sharing some of our past